বর্তমানে আমাদের সমাজে  রাসুল (সাঃ) বিদ্বেষী একদল মুনাফেক মুসলমানের আবির্ভাব ঘটেছে।কোরআন হাদিসের জ্ঞানশুন্য মুর্খ থেকে শুরু করে লেবাসধারী আলেম উলামা পীর
মাসায়াখেরা পর্যন্ত বলে এবং বেদাতের
ফতুয়াবাজি করে যে,
মহাপবিত্র ঈদুল আজম "ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" নাকি কোরআন হাদিসে নাই ?

মুর্খ মুনাফেকদের এই মিথ্যাচারের দাতভাঙ্গা জবাব হিসেবে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ থেকেই
পবিত্র মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের
দলিল আপনাদের খেদমতে উপস্থাপন করছি |

★পবিত্র কুরআনুল কারীমের সুরা আলে ইমরানের ১০৩ নং আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এরশাদ করেন,

" ﺍﺫﻛﺮﻭﺍ ﻧﻌﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻜﻢ " অর্থাৎ তোমাদেরকে যে নিয়ামত দেওয়া হয়েছে তার জিকির কর এবং খুশি কর|

★আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের সুরা ইউনুসের ৫৮ নং আয়াতে এরশাদ করেন,

                                  ﻗﻝ ﺑﻔﻀﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻭ ﺑﺮﺣﻤﺘﻪ ﻓﺒﺬﺍﻟﻚ
ﻓﻠﻴﻔﺮﺣﻮﺍ ﻫﻮ ﺧﻴﺮﻣﻤﺎ

অর্থাৎ হে রাসুল আপনি বলুন আল্লাহর দয়া ও রহমতকে কেন্দ্র করে তারা যেন আনন্দ করে এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও
অধিক শ্রেষ্ঠ |

এ পৃথিবীতে যত নেয়ামত রয়েছে বা এসেছে এর সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে হাবিবুল্লাহ হুজুর পাক
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম | আল্লাহর এই
নেয়ামত ও অনুগ্রহকে কেন্দ্র করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ও আনন্দ উদযাপন করার নির্দেশ স্বয়ং রাব্বুল আলামিন
দিয়েছেন যার প্রমান উপরোক্ত পবিত্র কোরআনের আয়াত |

অতএব নবীজির শুভাগমনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত আর
কি হতে পারে ?

★আবার আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনের সুরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে দয়াল নবীজির
শ্রেষ্টত্ব প্রকাশ করার জন্য ঘোষণা করেন,

" ﻭﻣﺎ ﺍﺭﺳﻠﻨﻚ ﺇﻻ ﺭﺣﻤﺔ ﻟﻠﻌﺎﻟﻤﻴﻦ "

অর্থাৎ নিশ্চয় আমি আপনাকে জগতসমূহের রহমত করেই প্রেরণ করেছি |

★আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনে আরও বলেন ,

ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺭﺑﻨﺎ ﺍﻧﺰﻝ ﻋﻠﻴﻨﺎ ﻣﺎﺀﺩﺓ ﻣﻦ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﺗﻜﻮﻥ ﻟﻨﺎ ﻋﻴﺪﺍ ﻻﻭﻟﻨﺎﻭﺍﺧﺮﻧﺎ

অর্থাৎঃ ঈসা ইবনে মারিয়াম ( আঃ) দুয়া করলেন , হে আল্লাহ ! হে আমাদের প্রভু আমাদের প্রতি আকাশ হতে খাদ্য অবতীর্ণ করুন যেন সেটা আমাদের জন্য অর্থাৎ আমাদের মধ্যে যারা প্রথমে ( বর্তমানে আছে ) এবং যারা পরে , সকলের জন্য আনন্দের বিষয় হয় এবং আপনার পক্ষ হতে এক নিদর্শন হয় ( ঈদের দিন ) | আর আপনি আমাদেরকে রিজিক প্রদান করুন
বস্তুত আপনিই সর্বোত্তম রিজিক প্রদানকারী |

মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে খাদ্য ভর্তি পেলে তা যদি ঈসা ( আঃ ) এর ভাষায় সৃষ্ঠির আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত আনন্দ উত্সবের কারণ হয় তবে রাহমাতুল্লিল আলামিন নবীজির মত মহান নেয়ামতের শুভাগমনের দিনটি কতই না গুরুত্বপূর্ণ , মর্যাদাপূর্ণ
ও আনন্দের তা সহজেই অনুমান করা যায় |

★তাছাড়া সুরা আজহাবের ৫৬ নং আয়াতে আল্লাহ পাক এরশাদ করেন ,
"তোমরা আমার হাবিবের প্রতি দুরুদ সালাম
প্রেরণ কর" |

অর্থাৎ আল্লাহ আমাদেরকে স্পষ্ট এখানে নির্দেশ করেছেন উনার হাবিবের প্রতি দুরুদ সালাম
জানানোর জন্য |
আল্লাহর নির্দেশ বিবেচনায় যা প্রত্যেক
মুমিন মুসলমানের জন্য ফরজ ( অর্থাৎ নবীজিকে তাজিম করা , সম্মান করা , নবীজিকে দিয়ে ভালো মনোভাব পোষণ করা ) |

এখন যারা মিলাদুন্নবীর বিপক্ষে কথা বলে ,
পাইকারী ফতুয়াবাজি করে এবং কোরআনে নেই
বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালায় তারা মূলত পবিত্র
কুরআনকে অস্বীকার করার মাধ্যমে যে কাফেরে পরিনত
হয়ে যাচ্ছে সেই খবর কি ওদের আছে ?
অতএব পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের উক্ত আয়াতগুলো থেকে সুস্পষ্ট প্রমান হয়ে যায় ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুশি মনে পালন করা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের জন্য ঈমানী দায়িত্ব এবং এই দিনের চেয়ে নিয়ামতপূর্ণ দিন আর হতেই পারেনা !

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন Blogger

 
Top