আমরা মদিনাওয়ালার আশেক পাগল
গোলামেরা ১২ ই রবিউল আউয়াল রাহমাতুল্লিল
আলামিন নবীজির শুভাগমনে খুশি হয়ে জসনে জুলুস
ও ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে থাকি |
কিন্তু রাসুল বিদ্বেষী একদল মুনাফেক মুসলমান
বলে থাকে ১২ ই রবিউল আউয়াল
তারিখেতো রাসুল মারা গেছেন !
( নাউজুবিল্লাহ ) তাহলে খুশি প্রকাশ কর কেন ?
এই দিন শোক প্রকাশ করনা কেন ?
এটা একটা শয়তানী যুক্তি মাত্র | তাদের এই
শয়তানী যুক্তির জবাব আমরা কোরআন সুন্নাহর
দলিল দিয়েই দেবো ইন শাহ আল্লাহুল আজিজ |
কেউ যদি বলে নবীজি মারা গেছেন
এটা নবীজির শানে চরম বেয়াদবী এবং জঘন্য
কুফরী | কেননা নবীজি হলেন হায়াতুন্নাবী | আজ
থেকে ১৫০০ বছর পূর্বে নবীজি সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু সময়ের জন্য মৃত্যুর
স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন মাত্র কিন্তু আমাদের মত
মারা যাননি | মারা যাওয়ার অর্থ হলো দেহ
থেকে রূহ স্থায়ীভাবে পৃথক হয়ে যাওয়া | কিন্তু
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রূহ
সাময়িক সময়ের জন্য পৃথক হয়েছিল মাত্র |
হাদিসে কুদসীতে এসেছে " সুম্মা রাদ্দাল্লাহু
রুহুয়াহু সুবা রুহুয়াহু অর্থাৎ নবীজির মৃত্যুর পর উনার
রূহ মোবারক সাথে সাথে আল্লাহ উনার দেহ
মুবারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন " |
আবু দাউদের হাদিস হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা ২ য়
খন্ডের ৭৭ পৃষ্ঠায় এসেছে " আল্লাহর হাবিব
এরশাদ করেন এই প্রথিবীর যেকোনো প্রান্ত
থেকে যখনি কোন লোক আমাকে সালাম দেয়
আল্লাহ আমার রুহ আমি নবীর দেহে ফিরায়া দেন
আমি রাসুল নিজের মুখে আমার উম্মতের
সালামের জবাব দেই |
সুনান বাগজারে সহি সনদে বর্ণিত হাদিস
আল্লাহর হাবিব এরশাদ করেন উনার
সাহাবিদেরকে , আমার ওফাতের পর
তোমরা বিলাপ করে কেদোনা |
কেননা আমি রাসুল সবার মত মারা যাবোনা |
আমি রাসুল রওজা শরিফ হতে তোমাদের আমল
দেখতে পাবো | যখন দেখব তোমরা ভালো কাজ
করছো তখন আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায়
করবো আর যখন দেখবো তোমরা খারাপ কাজ
করছো তখন আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর
কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবো |
ﻭَﻻَ ﺗَﻘُﻮﻟُﻮﺍْ ﻟِﻤَﻦْ ﻳُﻘْﺘَﻞُ ﻓِﻲ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻣْﻮَﺍﺕٌ ﺑَﻞْ ﺃَﺣْﻴَﺎﺀ
ﻭَﻟَﻜِﻦ ﻻَّ ﺗَﺸْﻌُﺮُﻭﻥَ ( ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ 154 - )
আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত
বল না | বরং তারা জীবিত |
তবে তা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না |
{সূরা বাকারা-১৫৪}
উক্ত আয়াতের স্পষ্ট ভাষ্য থেকে প্রতীয়মান হয়
যে, শহীদগণ কবরে জীবিত |
আর ইংগিতের সাথে একথাও বুঝাচ্ছে যে,
নবীগণও
কবরে জীবিত | কেননা নবীগণের
মর্যাদা শহীদদের তুলনায় অনেক উর্দ্বে |
সুতরাং শহীদগণ যদি কবরে জীবিত থাকেন,
তাহলে নবীগণ কেন হবেন মৃত? তারা অবশ্যই
জীবিত |
ﻋَﻦ ﺃَﻧَﺲ ؛ ﺃَﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ :
ﺍﻷﻧﺒﻴﺎﺀ ﺃﺣﻴﺎﺀ ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ ﻳﺼﻠﻮﻥ ( ﻣﺴﻨﺪ ﺍﻟﺒﺰﺍﺭ - ﻣﺴﻨﺪ
ﺃﺑﻲ ﺣﻤﺰﺓ ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ
করেছেন নবীরা কবরে জীবিত | আর
তারা সেখানে নামায পড়েন | {মুসনাদুল বাজ্জার,
হাদীস
নং-৬৮৮৮, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৪২৫,
সহীহ কুনুযুস সুন্নাতির নববিয়্যাহ, হাদীস }
হায়াতুন্নাব্বী প্রসঙ্গে কোরআন হাদিসে শত শত
দলিল রয়েছে | অতএব রাসুল মারা গেছেন
বলা মানে কোরআন হাদিস অস্বীকার করা আর
কোরআন হাদিস অস্বীকার করা মানে কাফের
হয়ে যাওয়া |
হযরত আবু সাঈদ আল খুদুরী রাদ্বি আল্লাহু
তালা বর্ণনা করেন , আমাদেরকে নির্দেশ
দেয়া হয়েছে যেন আমরা কোন ওফাত প্রাপ্তের
উপর তিনদিনের পর আর শোক প্রকাশ না করি,
কিন্তু স্বামীর জন্য ৪ মাস দশ দিন পর্যন্ত
স্ত্রী শোক প্রকাশ করতে পারে |
[বোখারীঃ ২য় খন্ড, ৮০৪ পৃঃ, মুসলীম
শরীফঃ ১ম খন্ড, ৮৮৬-৮৮৮ পৃঃ, তিরমিযি,
আবু দাউদ ইত্যাদি]
এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিন দিনের পর
ওফাতের শোক প্রকাশ করা বৈধ নয় |
অতএব কোরআন হাদিস প্রমান করে আমার
নবীজি হায়াতুন্নাবী তাই উনাকে আমরা মৃত
ভাবি না | আর উনাকে যারা মৃত ভাবে বা মৃত
বলে তারা চরম পর্যায়ের গাফেল বেয়াদব
এবং আকিদাগতভাবে কুফরী করে | আর তাদের
কথায় তারাই মুর্খ তা প্রমান করে |
কেননা এরা হাদিস পড়েনি আর
মিথ্যা ফতুয়াবাজি করে | আর নবীজি বলছেন
উনার জন্য শোক প্রকাশ না করার জন্য
এবং যেকোনো মৃতের জন্য ৩ দিনের বেশি শোক
প্রকাশ না করার জন্য | সুতরাং আমরা রাসুলের
হাদিস মানি বলেই এই দিন শোক প্রকাশ করিনা |
এখন যারা রাসুলকে মৃত বলে বা এইদিন শোক
প্রকাশ করে তারা কি মুমিন হতে পারে ?
এরা কি হাদিস শরীফের অনুসরণ করে ?
এরা কি মুর্খ মুনাফেক নয় ?
গোলামেরা ১২ ই রবিউল আউয়াল রাহমাতুল্লিল
আলামিন নবীজির শুভাগমনে খুশি হয়ে জসনে জুলুস
ও ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে থাকি |
কিন্তু রাসুল বিদ্বেষী একদল মুনাফেক মুসলমান
বলে থাকে ১২ ই রবিউল আউয়াল
তারিখেতো রাসুল মারা গেছেন !
( নাউজুবিল্লাহ ) তাহলে খুশি প্রকাশ কর কেন ?
এই দিন শোক প্রকাশ করনা কেন ?
এটা একটা শয়তানী যুক্তি মাত্র | তাদের এই
শয়তানী যুক্তির জবাব আমরা কোরআন সুন্নাহর
দলিল দিয়েই দেবো ইন শাহ আল্লাহুল আজিজ |
কেউ যদি বলে নবীজি মারা গেছেন
এটা নবীজির শানে চরম বেয়াদবী এবং জঘন্য
কুফরী | কেননা নবীজি হলেন হায়াতুন্নাবী | আজ
থেকে ১৫০০ বছর পূর্বে নবীজি সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম কিছু সময়ের জন্য মৃত্যুর
স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন মাত্র কিন্তু আমাদের মত
মারা যাননি | মারা যাওয়ার অর্থ হলো দেহ
থেকে রূহ স্থায়ীভাবে পৃথক হয়ে যাওয়া | কিন্তু
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রূহ
সাময়িক সময়ের জন্য পৃথক হয়েছিল মাত্র |
হাদিসে কুদসীতে এসেছে " সুম্মা রাদ্দাল্লাহু
রুহুয়াহু সুবা রুহুয়াহু অর্থাৎ নবীজির মৃত্যুর পর উনার
রূহ মোবারক সাথে সাথে আল্লাহ উনার দেহ
মুবারকে ফিরিয়ে দিয়েছেন " |
আবু দাউদের হাদিস হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা ২ য়
খন্ডের ৭৭ পৃষ্ঠায় এসেছে " আল্লাহর হাবিব
এরশাদ করেন এই প্রথিবীর যেকোনো প্রান্ত
থেকে যখনি কোন লোক আমাকে সালাম দেয়
আল্লাহ আমার রুহ আমি নবীর দেহে ফিরায়া দেন
আমি রাসুল নিজের মুখে আমার উম্মতের
সালামের জবাব দেই |
সুনান বাগজারে সহি সনদে বর্ণিত হাদিস
আল্লাহর হাবিব এরশাদ করেন উনার
সাহাবিদেরকে , আমার ওফাতের পর
তোমরা বিলাপ করে কেদোনা |
কেননা আমি রাসুল সবার মত মারা যাবোনা |
আমি রাসুল রওজা শরিফ হতে তোমাদের আমল
দেখতে পাবো | যখন দেখব তোমরা ভালো কাজ
করছো তখন আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায়
করবো আর যখন দেখবো তোমরা খারাপ কাজ
করছো তখন আমি তোমাদের জন্য আল্লাহর
কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবো |
ﻭَﻻَ ﺗَﻘُﻮﻟُﻮﺍْ ﻟِﻤَﻦْ ﻳُﻘْﺘَﻞُ ﻓِﻲ ﺳَﺒﻴﻞِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃَﻣْﻮَﺍﺕٌ ﺑَﻞْ ﺃَﺣْﻴَﺎﺀ
ﻭَﻟَﻜِﻦ ﻻَّ ﺗَﺸْﻌُﺮُﻭﻥَ ( ﺳﻮﺭﺓ ﺍﻟﺒﻘﺮﺓ 154 - )
আল্লাহর পথে যারা শহীদ হয় তাদের তোমরা মৃত
বল না | বরং তারা জীবিত |
তবে তা তোমরা উপলব্ধি করতে পারো না |
{সূরা বাকারা-১৫৪}
উক্ত আয়াতের স্পষ্ট ভাষ্য থেকে প্রতীয়মান হয়
যে, শহীদগণ কবরে জীবিত |
আর ইংগিতের সাথে একথাও বুঝাচ্ছে যে,
নবীগণও
কবরে জীবিত | কেননা নবীগণের
মর্যাদা শহীদদের তুলনায় অনেক উর্দ্বে |
সুতরাং শহীদগণ যদি কবরে জীবিত থাকেন,
তাহলে নবীগণ কেন হবেন মৃত? তারা অবশ্যই
জীবিত |
ﻋَﻦ ﺃَﻧَﺲ ؛ ﺃَﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ :
ﺍﻷﻧﺒﻴﺎﺀ ﺃﺣﻴﺎﺀ ﻓﻲ ﻗﺒﻮﺭﻫﻢ ﻳﺼﻠﻮﻥ ( ﻣﺴﻨﺪ ﺍﻟﺒﺰﺍﺭ - ﻣﺴﻨﺪ
ﺃﺑﻲ ﺣﻤﺰﺓ ﺃﻧﺲ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ
করেছেন নবীরা কবরে জীবিত | আর
তারা সেখানে নামায পড়েন | {মুসনাদুল বাজ্জার,
হাদীস
নং-৬৮৮৮, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হাদীস নং-৩৪২৫,
সহীহ কুনুযুস সুন্নাতির নববিয়্যাহ, হাদীস }
হায়াতুন্নাব্বী প্রসঙ্গে কোরআন হাদিসে শত শত
দলিল রয়েছে | অতএব রাসুল মারা গেছেন
বলা মানে কোরআন হাদিস অস্বীকার করা আর
কোরআন হাদিস অস্বীকার করা মানে কাফের
হয়ে যাওয়া |
হযরত আবু সাঈদ আল খুদুরী রাদ্বি আল্লাহু
তালা বর্ণনা করেন , আমাদেরকে নির্দেশ
দেয়া হয়েছে যেন আমরা কোন ওফাত প্রাপ্তের
উপর তিনদিনের পর আর শোক প্রকাশ না করি,
কিন্তু স্বামীর জন্য ৪ মাস দশ দিন পর্যন্ত
স্ত্রী শোক প্রকাশ করতে পারে |
[বোখারীঃ ২য় খন্ড, ৮০৪ পৃঃ, মুসলীম
শরীফঃ ১ম খন্ড, ৮৮৬-৮৮৮ পৃঃ, তিরমিযি,
আবু দাউদ ইত্যাদি]
এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, তিন দিনের পর
ওফাতের শোক প্রকাশ করা বৈধ নয় |
অতএব কোরআন হাদিস প্রমান করে আমার
নবীজি হায়াতুন্নাবী তাই উনাকে আমরা মৃত
ভাবি না | আর উনাকে যারা মৃত ভাবে বা মৃত
বলে তারা চরম পর্যায়ের গাফেল বেয়াদব
এবং আকিদাগতভাবে কুফরী করে | আর তাদের
কথায় তারাই মুর্খ তা প্রমান করে |
কেননা এরা হাদিস পড়েনি আর
মিথ্যা ফতুয়াবাজি করে | আর নবীজি বলছেন
উনার জন্য শোক প্রকাশ না করার জন্য
এবং যেকোনো মৃতের জন্য ৩ দিনের বেশি শোক
প্রকাশ না করার জন্য | সুতরাং আমরা রাসুলের
হাদিস মানি বলেই এই দিন শোক প্রকাশ করিনা |
এখন যারা রাসুলকে মৃত বলে বা এইদিন শোক
প্রকাশ করে তারা কি মুমিন হতে পারে ?
এরা কি হাদিস শরীফের অনুসরণ করে ?
এরা কি মুর্খ মুনাফেক নয় ?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন Blogger Facebook