ঈদে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময় শয়তান ও তার সহযোগীরা ছাড়া সবাই দিনটিকে উদযাপন করেন, কেননা শয়তান চার বার উচ্চস্বরে কেঁদেছিল প্রথমবার যখন আল্লাহতা’লা তাকে অভিশপ্ত আখ্যা দেন; দ্বিতীয়বার যখন তাকে বেহেশ্ত থেকে বের করে দেয়া হয়; তৃতীয়বার যখন
মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
বেলাদত তথা ধরাধামে শুভাগমন হয়; এবং চতুর্থবার যখন সূরা ফাতেহা নাযেলতথা অবতীর্ণ হয়।
[ইবনে কাসীর আল-বেদায়া ওয়ান্ নেহায়া, ২য় খণ্ড,১৬৬ পৃষ্ঠা] |

এ পৃথিবীতে যত নেয়ামত রয়েছে বা এসেছে এর চেয়ে সবচেয়ে বড় নেয়ামত হচ্ছে হাবিবুল্লাহ
হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম |আল্লাহর এই নেয়ামত ও অনুগ্রহকে কেন্দ্র করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা ও আনন্দ উদযাপন করার নির্দেশ স্বয়ং রাব্বুল আলামিন দিয়েছেন যার প্রমান উপরোক্ত পবিত্র কোরআনের আয়াত | অতএব নবীজির শুভাগমনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ নেয়ামত আর কি হতে পারে ? আবার আল্লাহ রাব্বুল আলামিন
পবিত্র কোরআনের সুরা আম্বিয়ার ১০৭ নং আয়াতে দয়াল নবীজির শ্রেষ্টত্ব প্রকাশ করার জন্য ঘোষণা করেন।
" ﻭﻣﺎ ﺍﺭﺳﻠﻨﻚ ﺇﻻ ﺭﺣﻤﺔ ﻟﻠﻌﺎﻟﻤﻴﻦ "
(অর্থাৎঃ নিশ্চয় আমি আপনাকে জগতসমূহের রহমতকরেই প্রেরণ করেছি |)

হযরত দারদা রাদ্বি আল্লাহু তালা আনহুহতে বর্নিত আছে - তিনি বলেন আমি নবী করিম হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে মদিনার আবু আমের আনসারির গৃহে গমন করে দেখি- তিনি তাঁর সন্তানাদি এবং আত্বয়-
স্বজনকে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর জন্ম বৃত্তান্ত
শিক্ষা দিচ্ছিলেন এবং বলছিলেন আজই সেই দিন
|
ইহা দেখে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করলেন :
নিঃসন্দেহে আল্লাহ তায়ালা তোমার উপর
রহমতের দরজা খুলে দিয়েছেন এবং আল্লাহর
ফেরেস্তাগনও তোমাদের সকলের জন্য মাগফিরাত
কামনা করছেন | [ দুররে মুনাজ্জাম আব্দুল হক
এলাহাবাদি ]
২।ইবনে আব্বাস রাদ্বি আল্লাহু তালা আনহু
থেকে বর্নিত আছে একদিন তিনি ( ইবনে আব্বাস )
কিছু লোক নিয়ে নিজগৃহে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম বৃত্তান্ত
আলোচনা করে আনন্দ উৎসব করছিলেন এবং তাঁর
প্রসংসাবলী আলোচনা সহ দুরুদ ও সালাম পেশ
করেছিলেন | এমন সময় হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে উপস্থিত হয়ে এ
অবস্থা দেখে বললেন : তোমাদের সকলের জণ্য
আমার সাফায়াত অবধারিত হয়ে গেল " |
[ ইবনে দাহইয়ার আত-তানভির ৬০৪ হিজরি
সুতড়াং প্রমানীত হলো যে নবী পাকের মিলাদ
শরিফ পাঠে রাসুলে পাকের সাফায়াত নসীব
হবে |
অতএব কোরআন ও হাদিস শরীফ অনুসারে এটাই
স্পষ্ট প্রমানিত হয় যে যারা পবিত্র
ঈদে মিলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময় খুশি উদযাপন
করেনা , মনকে নারাজ রাখে , বেদাতের
ফতুয়া দিয়ে মানুষকে আটকিয়ে রাখতে চায় , এই
পবিত্র দিনের বিপক্ষে কথা বলে এরা হলো প্রকৃত
শয়তানের অনুসারী তা আর বলার
অপেক্ষা রাখে না | '

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন Blogger

 
Top