হিজাব পরে ক্লাসে আসার
কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
মনোবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয়
বর্ষের এক ছাত্রীকে ক্লাস
থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ
উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক
প্রফেসর ড. আজিজুর রহমানের
বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার বিভাগের
শ্রেণিকক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
ড. আজিজুর রহমান আওয়ামীপন্থী
শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের
প্রভাবশালী সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দীর্ঘদিন
ধরে মনোবিজ্ঞান বিভাগের ৩য়
বর্ষের একজন ছাত্রী বোরকা পরে
ক্লাসে আসছিলেন। ওই শিক্ষক
তাকে বোরকা পরে ক্লাসে
আসতে নিষেধ করেন। একই সঙ্গে
যতদিন হিজাব পরে আসবে ততদিন
তার ক্লাসের উপস্থিতিও দেয়া
হবে না বলে জানান তিনি। এ
ঘোষণার পর বেশ কয়েকটি ক্লাসে
ছাত্রীটির ক্লাসে উপস্থিতি
দেননি ওই শিক্ষক।
সহপাঠীরা জানান, ছাত্রীটি
প্রতিটি ক্লাসে উপস্থিত
থাকলেও আজিজুর রহমান তার নাম
ডাকেন না এবং উপস্থিতিও দেন
না। সর্বশেষ মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত
ক্লাসেও একই ঘটনা ঘটায়
ছাত্রীটি দাঁড়িয়ে তার হাজিরা
দেওয়ার জন্য স্যারকে অনুরোধ
করেন। ড. আজিজুর রহমান তাকে
হিজাব খুলে ক্লাসে আসলে
হাজিরা দেয়া হবে বলে জানিয়ে
দেন এবং বলেন, তুমি কি ছাত্র না
ছাত্রী সেটা কিভাবে বুঝব।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমার
আইডেনটিটি কি? এর পরপরই
তাকে ক্লাস থেকে বের হয়ে
যেতে বলেন।
এ ঘটনায় কয়েকজন ছাত্রী
প্রতিবাদ করলে তাদেরও ক্লাস
থেকে বের করে দেন ওই শিক্ষক।
তবে ঘটনাটি অস্বীকার করে
প্রফেসর ড. আজিজুর রহমান বলেন,
হিজাব পরার কারণে তাকে বের
করে দেয়া হয়নি। ওই ছাত্রীটি
শিক্ষক ও বয়স্ক ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা
করতে রাজি নয়। ওই দিনের
ক্লাসেও সে আমার সঙ্গে
অশ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ করেছে। যার
কারণে তাকে ক্লাস থেকে বের
করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত
প্রক্টর প্রফেসর ড. এ এম আমজাদ
বলেন, ঘটনাটি আমি শুনিনি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো
পোশাক নির্দিষ্ট করে দেয়া নেই।
যেকোনো পোশাক পরে
শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসতে
পারবে। উল্লেখ্য, গত বছরও
আজিজুর রহমান বোরকা পরে
আসার কারণে নাবিলা ইকবাল
নামে তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে
ক্লাস থেকে বের করে দেন।


 
Top